Skip to main content

Featured

শুধু লেখালেখি করে টাকা আয় করুন!

অনলাইনে টাকা আয়ের অনেক উপায় আছে। তবে অনেকেই ভাবে, "আমার তো বিশেষ কোনো কাজ পারি না, তাহলে কি করবো?" — তাদের জন্য আজকের এই ট্রিক্স। এটা হলো কনটেন্ট রিরাইটিং। মানে হলো, অন্যের লেখা দেখে নিজের ভাষায় সুন্দর করে লিখে দেওয়া। ইংরেজি বা বাংলা যেটা পারেন, সেই ভাষায় এই কাজ করতে পারবেন। কোনো ইনভেস্ট লাগবে না। -- - কনটেন্ট রিরাইটিং কি? অনলাইনে অনেক ব্লগ, আর্টিকেল, নিউজ, বা প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লেখা হয়। এই লেখাগুলো হুবহু কপি করলে সমস্যা হয়। তাই অনেকে চায় কেউ যেন সেটাকে নতুনভাবে লিখে দেয়। যেমন: অরিজিনাল লেখা: "Online earning is easy if you know the right way." রিরাইট করা লেখা: "যদি আপনি সঠিক পদ্ধতি জানেন, তাহলে অনলাইনে আয় করা সহজ।" ব্যাস! এভাবেই রিরাইট করতে হয়। -- - কেন এই কাজ করবেন? কোনো ইনভেস্ট লাগবে না মোবাইল দিয়েও করা যায় ভালো লেখার অভ্যাস হবে বাংলাতেও করা যায় চাহিদা প্রচুর --- কোথায় কাজ পাওয়া যায়? ১. Fiverr.com ২. Upwork.com ৩. Freelancer.com ৪. Facebook Freelancing Group (বাংলাদেশেও অনেক গ্রুপ আছে) এছাড়া যারা ব্লগ চালান, তাদের কাছেও কাজ পাওয়া যায়। --- কিভাবে করব...

বিজ্ঞানীরা কিভাবে ভূত খোঁজার যন্ত্র আবিষ্কার করলো

 বিজ্ঞানীরা কিভাবে ভূত খোঁজার যন্ত্র আবিষ্কার করলো যেখানে বিজ্ঞান ভূত বিশ্বাস করে না


আমাদের মধ্যে অনেকেই নিশ্চয়ই এমন কিছু ছবি বা ভিডিও দেখেছি যেখানে কেউ এক হাতে ছোট একটা যন্ত্র ধরে ভূতের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চোখে অদ্ভুত এক উত্তেজনা, আশেপাশে গা ছমছমে পরিবেশ—এবং হঠাৎ করেই যন্ত্রটি বীপর বীপর করে শব্দ করতে শুরু করে! তাদের দাবি? এখানে আছে ভূত। আর সেই যন্ত্রটি? এটি হলো EMF মিটার। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এই যন্ত্র আসলে ভূত ধরার জন্য তৈরি করা হয়নি! চলুন, দেখি কীভাবে এই যন্ত্র একটি বৈজ্ঞানিক হাতিয়ার থেকে ভূত খোঁজার যন্ত্রে পরিণত হলো।


EMF মিটার: বৈজ্ঞানিক নায়কের ভূমিকায়



EMF মিটার বা ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড মিটার হলো একটি খুবই সাধারণ বৈজ্ঞানিক যন্ত্র যা মূলত বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্র মাপার জন্য তৈরি। এটি কোনো ভূত ধরতে সাহায্য করার জন্য নয় বরং এর উদ্দেশ্য ছিল বৈদ্যুতিক ডিভাইসের ত্রুটি খুঁজে বের করা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এমনকি আমাদের দৈনন্দিন ডিভাইসগুলো ঠিকমতো কাজ করছে কিনা তা দেখা। এটি ঠিক এক ধরনের সেন্সরের মতো কাজ করে যা আশেপাশের বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রের তীব্রতা পরিমাপ করে।


অদ্ভুত বৈদ্যুতিক বিকিরণ এবং শক্তি যেখানে বেশি, সেখানে এই মিটারের রিডিংও বেশি হয়। উদাহরণস্বরূপ, আপনার ঘরের ওয়াইফাই রাউটার, টিভি, বা মাইক্রোওয়েভের কাছাকাছি গেলে EMF মিটার উচ্চ রিডিং দেখাতে শুরু করবে। সহজ কথায়, এটা এমন কিছু নয় যা ভূতের আভাস দেয়—এটা কেবল বৈদ্যুতিক শক্তির উপস্থিতি দেখায়

ভূতের সন্ধানে EMF মিটার: কীভাবে এলো?


১৯৭০-এর দিকে, যখন বিজ্ঞান ফিকশন ও ভৌতিক কাহিনীগুলোর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে, তখন কিছু সাহসী ভূত শিকারি এবং পরাবাস্তব উৎসাহীরা EMF মিটার ব্যবহার করে শুরু করল ভূতের খোঁজ! তারা মনে করতে লাগল, যেহেতু ভূত অদৃশ্য শক্তির সৃষ্টি হতে পারে, তাই তারা বৈদ্যুতিক বা চৌম্বকীয় ক্ষেত্রের পরিবর্তন ঘটাতে পারে। এর ফলে যখন EMF মিটার কোনো অস্বাভাবিক রিডিং দেখায়, তখন ধরে নেয়া হয় যে, সেখানে কোনো অতিপ্রাকৃত ঘটনা ঘটছে।


বাস্তবে, এটি শুধুই কাকতালীয় বা ভুল ব্যাখ্যা হতে পারে। ভূত শিকারিরা অনেক সময় পুরনো বাড়ি, পরিত্যক্ত হাসপাতাল বা এমন জায়গায় EMF মিটার ব্যবহার করে, যেখানে প্রচুর পুরনো বৈদ্যুতিক তার এবং যন্ত্র রয়েছে। সেখানে মিটারের অস্বাভাবিক রিডিং পাওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু পরাবাস্তব বিশ্বাসীরা এটিকে “ভূতের ইঙ্গিত” বলে ধরে নেয়।


EMF মিটারের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি: ভূতের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই


বিজ্ঞানীরা কিন্তু একেবারেই ভূতে বিশ্বাস করেন না। কারণ, এখন পর্যন্ত ভূতের অস্তিত্বের কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ পাওয়া যায়নি। EMF মিটার বিজ্ঞানীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি যন্ত্র, কারণ এটি আমাদের দৈনন্দিন ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলোর বৈদ্যুতিক বিকিরণ মাপতে সাহায্য করে। এটি বিদ্যুৎ ক্ষেত্র এবং চৌম্বক ক্ষেত্রের তীব্রতা পরিমাপ করে, যা ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রযুক্তি খাতে অপরিহার্য


EMF মিটারের ইতিহাস: এক বৈজ্ঞানিক যাত্রা


EMF মিটারের শেকড় গেঁথে আছে প্রায় ২০০ বছর আগের বৈজ্ঞানিক গবেষণার মধ্যে। ১৮২০ সালে ড্যানিশ বিজ্ঞানী হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অরস্টেড প্রথম আবিষ্কার করেন যে বৈদ্যুতিক প্রবাহ চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে। এই আবিষ্কারকে ঘিরেই পরবর্তীতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালাতে থাকেন কিভাবে বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্র পরিমাপ করা যায়। এর পরবর্তীতে আসে EMF মিটারের আবিষ্কার, যা ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিক বিকিরণ সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।

ভূতের সাথে EMF মিটারের সম্পর্ক: বাস্তবতা বনাম কল্পনা


ভৌতিক চলচ্চিত্র এবং টিভি শোগুলোর প্রভাবে অনেকেই মনে করেন EMF মিটার ভূতের সন্ধান দিতে পারে। জনপ্রিয় শো "Ghost Hunters" বা "Paranormal Activity"-এর মতো শোগুলোর মাধ্যমে EMF মিটার ভূত শিকারির অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে। অথচ, বাস্তবে এই যন্ত্রটি কেবলমাত্র বৈদ্যুতিক বা চৌম্বক ক্ষেত্র মাপার জন্যই ব্যবহৃত হয়।


EMF মিটারের মূল সত্য হলো—এটি কোনো ভূতের অস্তিত্ব সনাক্ত করে না। এটি একেবারেই বৈজ্ঞানিক একটি যন্ত্র, যা ভূত শিকারিদের কল্পকাহিনীতে ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

ভূত এবং বিজ্ঞান: দুই ভিন্ন দুনিয়া


বিজ্ঞান এবং ভূতের ধারণা একে অপরের বিপরীত। বিজ্ঞান প্রতিটি বিষয়কে প্রমাণের ভিত্তিতে যাচাই করে, আর ভূতের ধারণা প্রমাণের চেয়ে বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। তাই, বিজ্ঞানীরা সাধারণত ভূতের বিষয়গুলোতে মাথা ঘামান না, কারণ এগুলোর পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।


উপসংহার


EMF মিটার আসলে একটি অত্যন্ত কার্যকর বৈজ্ঞানিক যন্ত্র, যা বৈদ্যুতিক এবং চৌম্বক ক্ষেত্র পরিমাপের জন্য তৈরি করা হয়েছিল। এর সঙ্গে ভূতের কোনো সম্পর্ক নেই, তবে এটি পরাবাস্তব কল্পকাহিনীর হাত ধরে ভূত খোঁজার যন্ত্র হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়ে গেছে। তাই, যখনই কেউ EMF মিটার নিয়ে ভূত খুঁজতে বের হয়, মনে রাখবেন, এটি বিজ্ঞান আর কল্পনার এক মজার মিশ্রণ ছাড়া কিছুই নয়!



আপনার চারপাশে যদি EMF মিটার হঠাৎ বীপর করা শুরু করে, দুশ্চিন্তার কিছু নেই—সম্ভবত আপনার লাইটের সুইচে একটু ঝামেলা হচ্ছে, ভূতের কোনো রহস্য নেই!


এরকম আরো তথ্য পেতে ফলো করুন

Comments